থেকে আপনি ডাটা কল করেই ফাংশনালিটি সহ ইম্পোর্ট করতে পারবেন। আর এই লাইব্রেরী এতটাই সমৃদ্ধ যে, প্রতিনিয়ত এখানে কোড আপডেট হয়ে থাকে। ফলে আপনি সহজেই লেটেস্ট ভার্সনের ডাটাবেজ ইম্পোর্ট করার সুবিধা পাবেন।
আগেও আমরা উল্লেখ করেছি যে, পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড হওয়ার ফলে, অনেক সমস্যাই আছে যেগুলো আপনি এই অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং সিস্টেমে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবেন। ফলে পাইথন তার নিজস্ব দক্ষতা ব্যবহার করে অনেক কঠিন কঠিন সমস্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করে দেবে।
পাইথনের ব্যবহার আসলে আপনি অনেকভাবেই করতে পারেন। সেজন্যে আপনাকে শুধু জানতে হবে, আর শিখতে হবে। পরের অধ্যায়ে আমরা পাইথন শেখা সম্পর্কে আলোচনা করবো। আপাতত আপনি পাইথনের কয়েকটি বিখ্যাত ব্যবহার জেনে নিন।
আপনি অ্যাপভিত্তিক যেকোন সফটওয়্যারের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বানানোর জন্যে পাইথন ব্যবহার করতে পারেন। আমরা জানি, বর্তমান যুগে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং ইউজার ইন্টারফেস এই দুটি টার্ম অনলাইনে যেকোন প্রোডাক্ট কিংবা অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলেই পাইথনের লাইব্রেরী ব্যবহার করে সহজেই আপনার সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্যে ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস ডেভেলপ করতে পারেন।
এতদিন প্রোগ্রামাররা যেকোন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানানোর জন্যে পিএইচপি ব্যবহার করতেন। কিন্তু পাইথনের সাহায্যে আপনি অনেক সহজেই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে পারবেন। তাইতো বর্তমানে অনেকেই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের জন্যে পাইথনের দিকে ঝুঁকছেন।
পাইথনের মাধ্যমে অনেক সাধারণ কোডিং দিয়েই সিস্টেম প্রোগ্রামিং করা সম্ভব। আপনি যেকোন থ্রেডিং, বেশি পরিমাণের ফাইল হ্যান্ডলিং, শেল কমান্ডের মত কঠিন কঠিন প্রোগ্রামিংগুলো খুবই সহজে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে করতে পারবেন।
বর্তমানে ডাইনামিক ডাটাবেজ ছাড়া ভাল কোন সফটওয়্যার, বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মত কাজগুলো করার কথা চিন্তাই করা যায় না। আর পাইথনের বিল্ট-ইন ডাটাবেজ ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডাটাবেজ ডেভেলপ করতে পারবেন। যেটা অন্যান্য ল্যাংগুয়েজের ক্ষেত্রে কঠিন কঠিন কোডিং এর মাধ্যমে এতদিন করা হত।
পাইথনের ডিফল্ট লাইব্রেরী ব্যবহার করে আপনি সহজেই সাইন্টিফিক প্রোগ্রামিং করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যেত, ছোট্ট একটি সাইন্টিফিক সিস্টেম বানানোর জন্যে অনেক বেশি কোডিং করে সিস্টেম ডেভেলপ করা লাগত। ম্যাটল্যাব ছিল অন্যতম মাধ্যম এইসব সাইন্টিফিক প্রোগ্রামিং করার জন্যে। তবে এখন পাইথন এই জায়গাটি দখল করা শুরু করেছে এটির লাইব্রেরী ইম্প্রুভ করার মাধ্যমে।
আমরা সবাই জানি যে, মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং এখন অনেক এগিয়ে। (AI) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে মেশিন লার্নিং একটি অপরিহার্য বিষয়। এই মেশিন লার্নিং বিষয়টি পাইথন অনেক সহজ করে দিয়েছে। যেখানে আপনি খুব সহজ কোডিং এর মাধ্যমেই এডভান্স লেভেলের মেশিন লার্নিং ফিচার ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবেন। পাইথনের মেশিন লার্নিং লাইব্রেরী অনেক বেশি ডাটা সম্পন্ন, যেকোন কিছুই আপনি এই লাইব্রেরীতে পেয়ে যাবেন অতি সহজে।
পাইথন শেখার আসলে অনেকগুলো মাধ্যম আছে। আপনি যদি পাইথন কোর্স করে শিখতে চান তাহলেও শিখতে পারেন। আবার যদি মনে করেন, যে আপনি কোর্স না করে শিখবেন, তাহলেও পারবেন। ইউটিউবে অনেক কোর্স পাবেন যেখানে পাইথনের একেবারে বেসিক থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত শেখানো হয়েছে। এছাড়া অনেক বই আছে পাইথন শেখার ওপরে। আপনি বই কিনেও নিজে নিজে প্র্যাক্টিসের মাধ্যমে পাইথন শিখতে পারেন।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ। আশা করছি আপনি পাইথন প্রোগ্রামিং সম্পর্কে মোটামুটি অনেক কিছুই জেনেছেন, যদি আপনি আমাদের লেখাটি ভালভাবে পড়ে থাকেন। আসলে মূল ব্যপারটি নির্ভর করছে, আপনি কতটুকু আগ্রহী পাইথন শেখার ব্যপারে। আপনি আমাদের লেখাটি পড়ে পাইথন সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিভাবে শিখতে হয় তাও বুঝতে পারবেন, কিন্তু নিয়মিতভাবে চর্চা আপনাকেই করতে হবে। আর এই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের ক্ষেত্রে, চর্চার কোন বিকল্প নেই। কোন শর্টকার্ট নেই। আপনাকে পুরো ব্যাপারটি বুঝেই কাজে নামতে হবে।
Answer these 5 questions to assess yourself and get a bonus 5 points.
Take the quiz now