সিভি লেখার নিয়ম: ২০২১ সালে একটি সিভি (CV) কেমন কেমন হওয়া উচিত

সিভি লেখার নিয়ম: ২০২১ সালে একটি সিভি (CV) কেমন কেমন হওয়া উচিত

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে চাকরি জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই সিভি (CV), Curriculum Vitae বা জীবন বৃত্তান্ত অনেক জরুরি একটা বিষয়। বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এটির গুরুত্ব সবথেকে বেশি। বাংলাদেশে চাকরির যে পরিমান চাহিদা তার তুলনায় চাকরির খাত অনেক কম। এজন্য বেশ ভালো রকমের প্রতিযোগিতা করেই একজনকে চাকরি পেতে হয়। এ এক্ষেত্রে একটি মানসম্মত সিভি (CV) এই প্রতিযোগিতায় আপনাকে অনেকটা এগিয়ে রাখতে পারে।

প্রথম দেখাতেই যদি সিভি টা আপনার এমপ্লয়ার (Employer) এর পছন্দ না হয়, আপনার ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পাওয়ার সুযোগ খুবই কম। অনেক এমপ্লয়ার (Employer) এক পলক দেখেই সিভি টা পছন্দ না হলে সেটিকে রিজেক্ট করে দেয়। অতএব বলা যায়, একটি মানসম্মত সিভি আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়।

কিন্তু এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকরি প্রত্যাশীরা কম্পিউটারের দোকান থেকে তাদের ফরম্যাট অনুযায়ী একটা সিভি বানিয়ে সাবমিট করে যেটি সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি। তাদের বানানো ফরম্যাটের সাথে আপনার দরকারি ফরম্যাট নাও মিলতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় আপনার সম্পর্কে দরকারি তথ্য গুলো সিভি থেকে বাদ পড়ে যায় আবার এমন তথ্যও আপনার সিভি-তে থাকে যার আসলে কোনো অস্তিত্ব আপনার জীবনে নেই।

তাই, এসকল পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনার নিজের সিভি সবসময় উচিৎ আপনার নিজেরই বানানো। আপনি যদি সিভি বানানোর খুব অসাধারন এবং কার্যকারী কৌশল সম্পর্কে জানতে চান তবে, Ghoori Learning এর প্রফেশনাল সিভি রাইটিং কোর্সটি আপনার জন্যেই। আপনাদের সুবিধার্থে এই লেখাটিতে আমরা সিভি লেখার নিয়ম সম্পর্কে খুব বিস্তারিত আলোচনা করবো। পাশাপাশি এমন কয়েকটি সহজ উপায় আপনাদের কাছে উপস্থাপন করবো যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা একটি সিভি তৈরি করতে পারেন। অতএব দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।  

 

সিভি কি? (What is Curriculum Vitae)

সিভি বা Curriculum Vitae হচ্ছে একজন ব্যক্তির শিক্ষা ও চাকরি জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সারাংশ। এটি সাধারনত ২ পাতার হয়ে থাকে এবং এটি মূলত চাকরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই সিভি’র ব্যবহার বেড়েই চলেছে। যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিশিয়াল ভাষা ইংরেজি, তাই এটি সাধারনত ইংরেজিতেই লেখা হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাতেও লেখা হয়ে থাকে সিভি।

যাহোক, সিভি (CV) ও রিজিউম (Resume) দুইটিই বাংলাদেশে জীবন বৃত্তান্ত অর্থেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আসলে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান এদের মাঝে। প্রথমত সিভি (CV) চাকরি ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু রিজিউম (Resume) শুধু একটি নির্দিষ্ট চাকরির জন্যই বানানো এবং ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয়ত সিভি’র কোনো লিমিটেশন হয় না। এটিতে আপনার জীবনের সকল চাকরির অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বাকি সকল প্রাপ্তি আপনি শেয়ার করতে পারবেন। যতগুলো পৃষ্ঠা দরকার, ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে, রিজিউম (Resume)-এর ক্ষেত্রে শুধু যে চাকরির জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটির সাথে প্রাসঙ্গিক চাকরির অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো ১ থেকে ২ পৃষ্ঠার মধ্যে তুলে ধরতে হয়। সবথেকে ভালো হয় যদি এক পৃষ্ঠার মধ্যেই সকল দরকারি জিনিস তুলে ধরা যায়।  

এই গুলোই হচ্ছে সিভি (CV) এবং রিজিউম (Resume) এর মধ্যে মূল পার্থক্য। যদিও বাংলাদেশে এগুলোর তেমন কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না। সিভি ও রিজিউম একই অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  

 

সিভি (CV)-তে কি কি থাকা উচিত?

চাকরির ধরন অনুযায়ী সিভি’র কিছু কিছু অংশ সবসময় পরিবর্তনশীল। সেগুলো নিজের মতো করে প্রয়োজন অনুযায়ী লিখতে হবে। কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো অপরিবর্তনশীল প্রত্যেকটা সিভি’র ক্ষেত্রেই। এই সকল বিষয় বিবেচনা করে একটি সিভি (CV)- তে কি কি থাকা উচিৎ তা নিচে দেওয়া হলোঃ 

 

  • নাম ও ঠিকানাঃ (Name and address)

সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার আসল এবং পূর্ণ নাম ও ঠিকানা সিভি-তে লিখতে হবে। মিস্টার মিসেস এগুলো সংযুক্ত করা যাবে না। পাশাপাশি এখানে আপনার ফোন নাম্বার ও বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের লিঙ্ক দিয়ে দিতে পারেন। এর সাথে বাধ্যতামূলক ভাবে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস যুক্ত করবেন আপনার সিভিতে। এক্ষেত্রে আপনার পূর্ণ নাম দিয়ে একটি ইমেইল খুলবেন। উল্টাপাল্টা কোনো ইমেইল যুক্ত করবেন না।    

 

  • ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যঃ (Career Objectives)

এর পরে আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন সে পদে চাকরিটি পেলে আপনি কি কি করতে চান, কি কি উদ্দেশ্য আছে ভবিষ্যতে ওই পদে থেকে তা সংক্ষিপ্ত আকারে ১০০ শব্দের ভেতরে তুলে ধরবেন।

  • কাজের অভিজ্ঞতাঃ (Work Experience)

কাজের অভিজ্ঞতা বা (Experience) হচ্ছে একটি সিভির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অংশে আপনি যে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, যে যে পদে কাজ করেছেন, যেসব কাজ করতে হয়েছে আপনাকে ওই সব পদে থেকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরবেন। যদি অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে যে পদের জন্য এখন আবেদন করছেন সে পদের সাথে প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা গুলো তুলে ধরবেন। এক্ষেত্রে সংক্ষেপে আপনার কাজের বিবরন যতদুর সম্ভব তুলে ধরা যায় তা তুলে ধরবেন।

 

  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ (Educational Qualification)

এখানে সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা ফলাফল সহ তুলে ধরবেন। বাংলাদেশের পরিপেক্ষিতে এস.এস.সি থেকে শুরু করে পরের সব ডিগ্রি গুলোকে তুলে ধরবেন ইন্সটিটিউটের নাম সহকারে। পাশাপাশি কোর্সের মেয়াদকাল এবং কোন কোন সালে পরীক্ষা গুলো দিয়েছেন সেগুলো তুলে ধরা বাঞ্ছনীয়।

 

  • কম্পিউটার দক্ষতাঃ (Computer Skill)

কাজের অভিজ্ঞতার পরে, এটিই বর্তমানে সবথেকে গুরুত্ব পূর্ণ অংশ হিসাবে পরিগণিত হয়। কম্পিউটারের দক্ষতা এখন প্রতিটি চাকুরির ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক অফিসের সকল কাজই এখন মূলত কম্পিউটার নির্ভর। তাই এ বিষয়ক যে যে দক্ষতা আছে আপনার সব গুলোই সংক্ষেপে তুলে ধরবেন।  

  • ভাষাগত দক্ষতাঃ (Language Efficiency)

আপনার কোন কোন ভাষার উপরে দখল আছে তা সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে হবে । বাংলা এবং ইংরেজি এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক আপনি যদি বাংলাদেশে চাকরি করতে চান। এছাড়াও কিছু কিছু নির্দিষ্ট চাকরির ক্ষেত্রে অন্য কোনো ভাষার জানার পূর্বশর্ত দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সেগুলো যুক্ত করতে হবে।

 

  • অন্যান্য দক্ষতাঃ (Other skills)

অন্যান্য কোনো দক্ষতা যদি আপনার থেকে থাকে যেগুলো কাজে আসতে পারে আপনার আবেদনকৃত চাকরীতে, তাহলে সেগুলোও সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে।

 

  • রেফারেন্সঃ (Reference)

এই অংশটিতে অনেকেই অনেক সময় ভুল করে। আত্মীয়-স্বজনের নাম দিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে এমন দুই অথবা তিন জনের রেফারেন্স দিবেন যারা আপনাকে ভালো ভাবে চেনে কিন্তু কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। এখানে আপনি যদি সদ্য গ্রজুয়েট হয়ে থাকেন, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রেফারেন্স সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে কারন তারা আপনাকে সবথেকে ভালো ভাবে চিনেন। এক্ষেত্রে ভুয়া তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারন আবেদনকৃত কোম্পানি থেকে আপনার দেওয়া রেফারেন্স থেকে ফোন দিয়ে যাচাই করতে পারে।

 

  • ছবি সংযোজনঃ (Photo)

এর পরে সিভি’র উপরের অংশে আপনার সদ্য তোলা একটি ফর্মাল পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করবেন। পুরাতন কোনো ছবি বা কালো চশমা পরিহিত কোনো ছবি দেওয়া যাবেনা। ছবিটা যথেষ্ট ফর্মাল হতে হবে।  

 

  • স্বাক্ষর ও তারিখঃ (Signature and Date)

সবশেষে আপনার স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি এবং তারিখ সিভি’র নিচের অংশের যুক্ত করতে হবে।

 

বর্তমানে সিভি’র ফরম্যাট কেমন হওয়া উচিৎ?

সিভি হচ্ছে এমন একটি ডকুমেন্ট যা দেখে খুব কম সময়েই আপনার ইমপ্লয়ার (Employer) আপনাকে মূল্যায়ন করবেন। তাই এক্ষেত্রে প্রতিটি অংশেই আপনাকে স্মার্টনেস দেখাতে হবে। সিভি’র ফরম্যাটও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক বর্তমানে একটি সিভি’র ফরম্যাট কেমন হওয়া উচিৎঃ

 

  • সিভির দৈর্ঘ্যঃ

এক্ষেত্রে একটি ধারণা আমরা আগেই দিয়েছি। যেভাবেই হোক দুই পৃষ্ঠার মধ্যেই শেষ করতে হবে আপনার সিভি। অনেক কম সংখ্যক শব্দ ও কথায়ও অনেক বেশি কিছু প্রকাশ করা যায়। যতদূর সম্ভব সংক্ষেপে আপনার সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে এখানে। 

 

  • কাগজের সাইজঃ

আপনি পোস্ট অফিস-এ বা অনলাইনে পিডিএফ যে মাধ্যমেই সিভি পাঠান না কেন, আপনাকে A4 পেজ-এ সিভি টি লিখতে হবে। এক্ষেত্রে সিভি’র চারপাশে মার্জিনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে জায়গা রাখবেন।

 

  • ফন্টঃ

সিভি-টি ফরমাল রাখার জন্য আপনি Calibri, Arial বা, Times new roman এই তিনটি ফন্টের একটা ব্যবহার করতে পারেন। ফন্টের সাইজ ১০ থেকে ১২ এর মধ্যে রাখবেন। হেডলাইন-এর ক্ষেত্রে ১৪ বা ১৬ সাইজের ফন্ট ব্যবহার করে সেটিকে বোল্ড করে দিতে পারেন।

 

  • গ্রামার ও অন্যান্যঃ

সিভি’র কোনো অংশের গ্রামার-এ বিন্দু মাত্র ভুল করা থেকে বিরত থাকবেন। পাশাপাশি বানানের দিকেও খুব গুরুত্ব দিবেন। সিভি’টি লেখা শেষ হলে বার বার রিভাইস দিয়ে দেখবেন কোনো ভুল আছে কিনা।

 

সিভি লেখার নিয়ম

বর্তমানে সিভি লেখা আগের থেকে অনেক সহজ হয়ে গেছে। অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি এসেছে যার মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি পরিপূর্ণ একটি সিভি বানিয়ে ফেলতে পারেন। চলুন এমন কিছু মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করা যাক।   

 

  • এম এস ওয়ার্ড (Microsoft word)-এর মাধ্যমে নিজে তৈরি করাঃ

আপনি যদি পুরোপুরি নিজে একটি সিভি বানাতে চান, সেক্ষেত্রে এম এস ওয়ার্ড সবথেকে ভালো মাধ্যম হতে পারে আপনার জন্য। বাই ডিফল্ট কিছু ফরম্যাট এম এস ওয়ার্ড এ দেওয়া থাকে। তাদের মধ্য থেকে একটা নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন আপনি। অথবা নিজে নিজেই ফরম্যাট বানিয়ে সেটি দিয়ে আপনার সিভি বানাতে পারেন। এর পাশাপাশি এখন পাওয়ার পয়েন্ট (MS Power Point)- এও সিভি বানানো যায়। ওখানে বিভিন্ন শেপ (Shape) ব্যবহার করে একটি চমৎকার সিভি বানিয়ে ফেলতে পারেন। আবার অনলাইনে, পাওয়ার পয়েন্ট সিভি টেম্পলেটও (PowerPoint CV Template) পেয়ে যাবেন একটু খুজলেই। ওগুলো ব্যবহার করেও খুব সহজেই আপনি একটি প্রফেশনাল সিভি বানিয়ে ফেলতে পারেন।

 

  • সিভি বিল্ডিং ওয়েবসাইট (CV-Building Website) থেকে বানানোঃ

বর্তমানে অনেক সিভি বিল্ডিং ওয়েবসাইট (CV-Building Website) রয়েছে যারা ফ্রি-তে সিভি বানানোর সার্ভিস দিয়ে আসছে। গুগলে সার্চ করলে এরকম অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। পছন্দ মতো একটি ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই একটি মানসম্মত সিভি বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

 

  • মোবাইল অ্যাপ (Mobile App) এর মাধ্যমে বানানোঃ

এখন আপনি যদি চান মোবাইল -এ সিভি বানাবেন, চাইলে সেটাও করতে পারেন। অনেক অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস (Android and IOS) অ্যাপ আছে যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই প্রোফেসনাল সিভি বানানো যায়। চাইলে এরকম একটি অ্যাপ বেছে নিয়ে সেটির মাধ্যমেও আপনার সিভি’টি বানাতে পারেন।

 

শেষাংশ

বর্তমানে চাকরির দুনিয়ায় একটি সিভি (CV) অতিব জরুরি একটি ডকুমেন্ট যা আপনাকে একটি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ অনেকটাই সাহায্য করতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই সকলেরই উচিৎ সিভি বানানো শিখে রাখা। এই আর্টিকেলটিতে আমরা একটি সিভি লেখার নিয়ম সম্পর্কে আদ্যোপান্ত আলোচনা করেছি। আশা করি লেখাটি আপনাদের সিভি লেখা বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধিতে অনেকাংশে সহায়তা করেছে। এছাড়া বিষয়ক যে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। সকলের জন্য সুভকামনা রইল।

Related Post

No data found