আপনি কি উচ্চ শিক্ষা কিংবা উন্নত জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার কথা ভাবছেন? সেক্ষেত্রে IELTS ভালো ব্যান্ড স্কোর থাকা প্রয়োজন। কিন্তু IELTS কি, ব্যান্ড স্কোর কীভাবে হিসাব করা হয় কিছুই জানেন না? ঘুড়ি লার্নিং এর আজকের আর্টিকেলে ইংরেজীতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাসহ IELTS স্কোর ডেভেলপ করার প্রয়োজনীয় টিপস পাবেন।
বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপি সমাদৃত এবং বেশ জনপ্রিয় একটি ভাষা হিসেবে ইংরেজির গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। কখনো উচ্চশিক্ষা খাতে কিংবা ভালো চাকরি অর্জনে অথবা শিক্ষাজীবনে মেধার স্বাক্ষর প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে আমাদের জীবনে ইংরেজী জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। শুধুমাত্র এই ভাষাটিকে ভালোভাবে রপ্ত করতে পারলেই আপনার শিক্ষাজীবন, কর্মজীবনে টেনশন ফ্রি রাখতে সাহায্য করবে। আর তাই বর্তমান সময়ে ইংরেজীতে দক্ষতা অর্জনের চাহিদা বেড়েছে পূর্বের চেয়ে কয়েক গুণ হারে। এরই ধারাবাহিকতায় এইটি আপনি দেখবেন IELTS কী, টেস্ট ফরমেট, স্কোর কীভাবে হিসাবে করা হয়, স্কোর বাড়াতে প্রয়োজনীয় টিপসসহ আরও কিছু।
IELTS কি?
সারাবিশ্বব্যাপী ইংরেজী দক্ষতা যাচাইয়ের স্বীকৃত একটি মাধ্যম হল IELTS। IELTS এর পূর্ণরুপ হল International English Language Testing System। নন-নেটিভ ইংলিশ ভাষাভাষীদের জন্য ইংরেজী ভাষাভাষী দেশসমূহে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজী দক্ষতা যাচাইয়ের স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূলত একজন আবেদনকারী কোন দেশে যাবে, কি ধরণের চাকরী করবে, উচ্চশিক্ষায় ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ অর্জনে এবং চাকরী পাওয়ার ক্ষেত্রে IELTS স্কোর প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
IELTS এর একাডেমিক প্রিপারেশনের জন্য নিচের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
উন্নত জীবনযাপনের হাতছানি, ভালো ক্যারিয়ার এবং স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের ক্ষেত্রে সকলেই IELTS নামক সোনার হরিনের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছে। অনেকেই ইংরেজীতে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় সফলতার মুখ দেখলেও শুধুমাত্র পরিপূর্ণ গাইডলাইনের অভাবে অনেকেই এই যাত্রায় এখন পর্যন্ত পরিপূর্ণ অর্জন করতে পারে নি। কিংবা পরিপূর্ণ তথ্য না জানার মাধ্যমে অনেকেই এই ক্ষেত্রে আসতে ভয় পাচ্ছে। তবে বিদেশ গমনে ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে যেতে চাইলে যোগ্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে IELTS এর বিকল্প কোন পথ নেই।
একজন প্রার্থীকে বিদেশে আবেদন করার ক্ষেত্রে যদি IElTS এর স্কোর প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে তাকে IELTS এর এই গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে । ধাপগুলো হল—
১৯৮৯ সাল থেকে ইংরেজী দক্ষতা যাচাইয়ের স্বীকৃত একটি পরীক্ষা হিসেবে বিশ্বের প্রায় ১ লাখের বেশী সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র, বিদেশ গমনের জন্য এই পরীক্ষা অনুমোদন করেছে। IELTS স্কোরের উপর ভিত্তি করে একটি দেশ আবেদনকারীকে সেই দেশে ভিসা প্রদান করে। মূলত এই পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সে দেশে মানিয়ে চলার জন্য, সেদেশে নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড-আপের জন্য, প্রয়োজনীয় ভাষাগত যোগ্যতা রয়েছে কিনা তা যাচাই বাছাই করা হয়। তাই উচ্চশিক্ষা হোক কিংবা ক্যারিয়ার বিল্ড-আপ করার ক্ষেত্রেই হোক স্বপ্ন যখন বিদেশ যাওয়া সেক্ষেত্রে IELTS এ ভালো করার বিকল্প নেই।
IELTS টেস্ট ফরমেট
IELTS একাডেমিক বা প্রফেশনাল (জেনারেল) মডিউল টেস্ট পরীক্ষাটি মূলত এক ধরণের ভাষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা হিসেবে সর্বসম্মতক্রমে স্বীকৃত একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই স্কোর একটি কি-পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। মূলত IELTS স্কোর ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ইউনাইটেড-স্টেটসহ (US) বিশ্বের প্রায় ১৪০ টির বেশি দেশে একাডেমিক ইনিস্টিটিউশন এবং প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রার্থী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
IELTS এর জেনারেল প্রিপারেশনের জন্য নিচের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তবে আপনি IELTS এর যে মডিউলে পরীক্ষা দিতে চান না কেন উভয় মডিউলের মধ্যে চারটি পার্ট থাকে। তা হল লিসিনিং, রিডিং, রাইটিং, এবং স্পিকিং।
লিসিনিং এবং স্পিকিং এর জন্য উভয় মডিউলের ধরণ অনেকটা একই রকম।
লিসিনিং
একাডেমিক রাইটিং
জেনারেল ট্রেনিং রিডিং
একাডেমিক রাইটিং
জেনারেল ট্রেনিং রাইটিং
স্পিকিং
স্কোর/গ্রেড
আপনি চারটি বিভাগে (লিসিনিং, রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং) এ ১-৯ পর্যন্ত স্কোর অর্জন করতে পারবেন। এই চারটি বিভাগের স্কোরকে গড় করে প্রাপ্ত স্কোরকে আপনার মূল স্কোর হিসেবে ধরা হবে। চারটি সেক্টরের স্কোর হিসেবে আপনি পরিপূর্ণভাবে (৬.০,৭.০,৮.০) অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন সেক্টরের স্কোর অনুযায়ী আপনার পরিপূর্ণ স্কোর ৬.৫,৭.৫,৮.৫ হতে পারে।
IELTS প্রিপারেশনের জন্য নিচের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
IELTS ব্যান্ড স্কোর হিসাব করা হয় যেভাবে
আইইএলটিএস (IELTS) ব্যান্ড স্কোর কীভাবে হিসাব করা হয় তা নিচে টেবিলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হলো। টেবিল থেকে আপনি কীভাবে স্কোর গণনা করতে হয় তা বুঝতে পারবেন।
IELTS স্কোর সর্বদা ০ থেকে ৯ এর মধ্যে। আপনি সর্বনিন্ম স্কোর ০.৫ পেতে পারেন, ঠিক যেমন ৬.৫ বা ৭.৫ পেতে পারেন। এখানে প্রতিটি পার্টের জন্য একটি আলাদা ব্যান্ড স্কোর পাবেন (লিসনিং, রিডিং, রাইটিং এবং স্পিকিং) এবং তার উপর ভিত্তি করে একটি গড় বা ওভারভিউ ব্যান্ড স্কোর পাবেন। অর্থাৎ আপনার মূল ব্যান্ড স্কোর হল সকল পার্টের গড় স্কোর। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গড় স্কোর থেকেও কম বেশি হিসাব করা হয়। আর সেটা কীভাবে তা নিচে বর্ণনা পাবেন। এখন উদাহরণ হিসাবে নীচের টেবিল দেখুন।
|
লিসিনিং |
রিডিং |
রাইটিং |
স্পিকিং |
অভারঅল |
|
৭.৫ |
৭ |
৮ |
৭.৫ |
৭.৫ |
অভারঅল ব্যান্ড কীভাবে হিসাবে করে?
স্কোর হিসাবে আইইএলটিএস ওয়েবসাইটে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এমনভাবে, ৪ টি পার্টের পরীক্ষার ফলাফল যদি ৬ বা ৬.৫ এমন না হয় তাহলে আপনাকে নিকটতম বা সবচেয়ে কাছের ব্যান্ড স্কোরে মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়। নিচে IELTS স্কোর কীভাবে হিসাবে করা হয় তার উদাহরণ দেওয়া হলো।
এখন যদি বলেন IELTS-এ মিনিমাম কতো স্কোর থাকা ভালো? সেক্ষেত্রে বলতে হয়, IELTS ওয়েবসাইট অনুসারে আপনি যেমন এক্সাম দিবেন তার উপর নির্ভর করে আপনাকে একটি অভারঅল স্কোর তারা প্রদান করবে। সেটা ০ থেকে ৯ পর্যন্ত হতে পারে। তবে আপনার IELTS দেওয়ার অবশ্যই একটি উদ্দেশ্য আছে—সেটা উচ্চ শিক্ষার জন্য হোক আর বিদেশে কোন চাকরি। আর এজন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালগুলো একটি নির্দিষ্ট স্কোর চায়। আপনাকে সেই স্কোর পেয়েই সেই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে। এই স্কোর দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনুসারে ভিন্ন হয়। তবে সাধারণত ৬ এর নিচে গেলে আপনি ভালো কোন দেশে ভর্তি হতে পারবেন না। সুতরাং আপনি কোন দেশে এবং ইউনিভার্সিটি বা ব্রান্ডে কাজ করতে চান বা ভর্তি হতে চান, তাদের রিকুয়ারমেন্ট অনুসারে লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রিপারেশন নিতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।পরবর্তীতে IELTS স্কোর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় টিপস আলোচনা করা হবে যা আপনাকে বেশ সাহায্য করবে।
IELTS স্কোর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় টিপস
IELTS বিশ্বব্যাপী ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তাই বিদেশগামী শিক্ষার্থীরা কিংবা কর্মজীবীরা নিজেদের ইংরেজি দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে, ভালো স্কোর অর্জনের জন্য বিশাল লক্ষ্যকে টার্গেট করে এই যাত্রায় অবতীর্ণ হয়। অনেকে দেখা যায় যে তারা শুধুমাত্র IELTS এর একটি কিংবা দুটি পার্টকে গুরুত্ব দিয়ে পড়াশোনা করে। ফলে তারা কাঙ্খিত স্কোর অর্জন করতে পারেনা। তাই কিভাবে একইসাথে ৪ টি সেক্টরে পরিপূর্ণ স্কোর অর্জন করা যায় সে সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস এবং ট্রিক্স সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক—
১. লিসিনিং
IELTS লিসিনিং টেস্টের পূর্বে
১. লিসিনিং পার্টে ভালো করতে চাইলে ইংরেজি ভাষাকে রপ্তের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় শোনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তার জন্য আপনি ইংরেজিতে রেডিও প্রোগ্রাম, নিউজপেপার, লেকচার,মুভি কিংবা সিরিজ, কার্টুন, বই এবং অনলাইন ভিডিওগুলো প্রচুর দেখার এবং পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২. নিজেকে ব্রিটিশ এক্সেন্টের সাথে পরিচয় ঘটাতে চাইলে আপনাকে আগে নিজেকে এটির সাথে ফেমিলিয়ার করে তুলতে হবে। তাই এর জন্য আপনি ব্রিটিশ নিউজ চ্যানেল বিবিসি এর শরণাপন্ন হতে পারেন।
৩. পাশাপাশি IELTS এর লিসিনিং পার্টের পরিপূর্ণ নাম্বার পেতে চাইলে অবশ্যই টেস্ট কোয়েশ্চেন এর ধরণ যেমন মেচিং, মাল্টিপল চয়েস, লেবেলিং বিভিন্ন বই থেকে রপ্ত করতে হবে।
IELTS লিসিনিং টেস্টের সময়
১. প্রত্যেকটি সেকশনের শুরুতেই অডিও ইন্সট্রাকশন মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কারণ এই নির্দেশনাগুলো আপনি কোন বইয়ে পাবেন না।
২. আপনি টেস্ট বুকলেট ঠিক কয়টা শব্দ লিখবেন তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কারণ অতিরিক্ত শব্দ লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত নাম্বার হারাতে পারেন।
৩. শোনার পূর্বে আগে প্রশ্নটি পড়ে নিন। কারণ সে মুহূর্তে শুধুমাত্র আপনাকে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য এবং উপযুক্ত নির্দেশনার জন্য ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড প্রদান করা হবে।
৪. প্রশ্নের কিওয়ার্ডটিকে আন্ডারলাইন করুন। সেই সাথে সিনোনিমস এবং প্যারাফেইসগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
৫.সিচুয়েশনকে ভিজিওলাইজ করুন এবং তার উপর ভিত্তি করে উত্তর অনুমান করুন।
৬. না বোধক শব্দের দিকে বিশেষ নজর দিন।
৭.প্রতিটি সেকশনের মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার উত্তরগুলো রিভাইস দিন। মিনটের মধ্যে আপনার সব এন্সার বুকলেট এনসার শীটে স্থানান্তর করুন।
৮.আপনি প্রতিটি প্রশ্নের এনসার আপনার এনসার শীটে বসিয়েছেন কিনা তা মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
৯.কোন প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকলে তার অনুমান করে বসিয়ে দিন। তবে কখনো খালি ঘর রাখবেন না।
১০. অবশ্যই সঠিক গ্রামাটিক্যাল ফর্ম এবং সঠিক শব্দের উত্তর বসানোর চেষ্টা করুন।
IELTS প্রিপারেশনের জন্য নিচের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
২. রিডিং
IELTS রিডিং টেস্টের পূর্বে-
১. নিউজপেপার, ম্যাগাজিন, জার্নাল এবং সবশেষ ইংরেজিতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পড়ার সময় কমন শব্দগুলো আন্ডারলাইন, হাইলাইট করে রাখুন।
২. কন্টেন্ট থেকে অপরিচিত শব্দ জানা এবং শেখার চেষ্টা করুন। তবুও আপনি শব্দটি রপ্ত না করতে পারলে তার অর্থ ডিকশনারি থেকে খুঁজে বের করুন।
৩. সমসাময়িক নিউজে চোখ রাখুন। অনেক সময় প্যাসেজগুলো সমসাময়িক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তুলে ধরা হয়।
৪. অবশ্যই একাডেমিক এবং জেনারেট ট্রেনিং রিডিং টেস্টে কোয়েশ্চেনের সাথে আগে থেকে পরিচিতি বাড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫. নির্দিষ্টি টাইম ধরে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনাকে অবশ্যই দ্রুত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে আপনি ৩ টি অনুচ্ছেদের ৪০ মিনিটে ৬০ টি প্রশ্নের উত্তর পড়ে শেষ করতে হবে।
৬. বিভিন্ন রিডিং টেকনিক যেমন স্কিমিং, স্ক্যানিং, এবং ইনটেনসিভ রিডিং এর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
IELTS রিডিং টেস্ট এর সময়
১. নির্দেশনা পরিপূর্ণভাবে শুনুন। আপনার যদি তা পূর্বে শুনেছেন বলে মনে হয় তবুও মনোযোগ দিয়ে কি বলছে তা বুঝার চেষ্টা করুন। ভালোভাবে মনে রাখার জন্য প্যাসেজ পড়ুন, শব্দ দেখুন এবং আপনার টেস্ট বুকলেট এ বসানোর আগে পুরো উত্তর সাজিয়ে নিন।
২. আপনার সময়কে খুব সাবধানতার সাথে বিভাজন করতে হবে। আপনি যদি এক মিনিটের মধ্যে একটি প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারেন তাহলে তা ছেড়ে দিন এবং পরের প্রশ্নের দিকে এগিয়ে যান। আপনার সব উত্তর দেবার পর যদি হাতে পরিপূর্ণ সময় থাকে তাহেল আপনি সেই ফেলে রাখা প্রশ্নের উত্তর দিন।
৩. আপনার সব উত্তর এনসার শিটে ঠিক মতো বসিয়েছেন কিনা তা ভালোভাবে চেক করে নিন। এন্সার শিটে কোন ঘর ফাঁকা রাখবেন না। আপনি যদি উত্তর না জানেন আপনি অনুমান করে তা বসিয়ে নিন।
৩. রাইটিং
IELTS রাইটিং টেস্ট এর পূর্বে
১. আপনি যদি IELTS একাডেমিক মডিউল দেওয়ার কথা ভাবেন তাহলে আপনি মডেল/গ্রাফ/চার্ট/ডায়াগ্রাম ডিক্রিপশান অনলাইন এন্ড টার্ম এনালাইজ/অগ্রানাইজেশন আইডিয়া এবং ভোকাবুলারীতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
২. আপনি যদি IELTS জেনারেল ট্রেনিং মডিউল দিতে চান সেক্ষেত্রে মডেল লেটার খুঁজে বের করে আপনাকে অনলাইন বা অফলাইনে এনালাইজ এর মাধ্যমে অর্গানাইজেশনের টার্ম, আইডিয়া এবং ভুকাবুলারি বের করার কৌশল জানতে হবে।
৩. অনলাইনে মডেল IELTS প্যারাগ্রাম খুঁজে বের করে তা এনালাইজ করুন এবং তার স্ট্রাকচার ভুকাবুলকারী, কোয়ারেন্স, সেন্টেন্স ভ্যারাইটিসের দিকে নজর দিন।
IELTS রাইটিং টেস্টার সময়
১. প্রত্যেকটা টাস্ক মনোযোগ সহকারে এনালাইজ করুন এবং কিওয়ার্ডগুলো আন্ডারলাইন করুন।
২. আপনার লেখার মধ্যে কখনো টাস্ক ওয়ার্ড যুক্ত করবেন না। লেখায় আপনার নিজস্ব-স্টাইলের বাক্য এবং বাক্যের গঠনের মাধ্যমে আপনার লেখার মাধুর্য ফুটিয়ে তুলতে হবে।
আপনি যখন IELTS একাডেমিক মডিউল দেবার পরিকল্পনা করছেন…
১. আপনাকে অবশ্যই Essay question বুঝার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আপনাকে প্রশ্ন করতে হবে, সমস্যার কথা বলতে হবে, সমস্যা কিংবা সমাধান উভয় সম্পর্কেও বলতে হতে পারে। তাই প্রশ্ন যে ধরণের হোক না কেন আপনার যাচাই করে নিজের মেধার যথাযথ ব্যবহার করে উত্তর দেওয়্যার চেষ্টা করতে হবে।
২. আপনাকে প্রশ্নে যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে শুধুমাত্র তার উত্তর বসান। কখনো টপিকের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত কিছু লিখবেন না।
৩. আপনার Essay ৩৫০ ওয়ার্ড এর মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করুন। আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি মেইনটেইন করা উচিত। কোয়ান্টিটি নয়।
৪. সময়কে প্রাধান্য দিন। আপনি অবশ্যই লেখা শেষ করে ৩ মিনিট রিটেন টাস্ক রিভাইস দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় হাতে রাখতে হবে। এজন্য আপনি চাইলে এজের (Essay) জন্য অতিরিক্ত ৫ মিনিট সময় বরাদ্ধ রাখতে পারেন।
আপনি যদি IELTS জেনারেল ট্রেনিং মডিউল দেওয়ার কথা ভাবেন…
১. কখনোই কোন প্ল্যানিং সেট করা ছাড়া শুরুতেই আপনার Essey কিংবা লেটার লেখা শুরু করবেন না।
২. প্রথম টাস্কে আপনি ১৫০ শব্দ লেখার চেষ্টা করবেন তবে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে তা ২০০ ওয়ার্ড পর্যন্ত লিখতে পারেন।
৩. টাইম ম্যানেজমেন্টে গুরুত্ব দিন। আপনার লেখার শেষে অতিরিক্তি ৩ মিনিট প্রথম টাস্ক সম্পন্ন করে রিভাইস দেওয়ার জন্য রাখুন। টাস্ক ২ রিভাইস দেওয়ার অতিরিক্ত ৫ মিনিট বরাদ্দ রাখুন।
৪. টাস্ক ২ তে আপনি প্রথমে ২৫০ ওয়ার্ড শেষ করুন তবে আপনি চাইলে তা ৩৫০ ওয়ার্ড পর্যন্ত বাড়াতে পারেন।
English প্রিপারেশনের জন্য নিচের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
৪. স্পিকিং
IELTS স্পিকিং টেস্টের পূর্বে -
১. বার বার অনুশীলন করুন। ইংরেজিতে বই পড়ুন, মুভি দেখুন, সিরিজ দেখুন, রেডিও শুনার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কোন কিছু পড়ার মাধ্যমে, দেখার মাধ্যমে সে সম্পর্কে ভাবার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে নিজের ভালো লাগা এবং খারাপ লাগাগুলো পৃথক করতে পারবেন।
২. পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলুন। এটি আপনার ইংরেজি দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। সেই সাথে পরীক্ষার পূর্বে ইংরেজিতে সুইচ করতে ভূমিকা রাখবে।
IELTS স্পিকিংয়ের সময় -
১. শান্ত থাকুক। আপনি যত শান্ত থাকবেন আপনি ভালোভাবে আপনার পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবেন।
২. বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি যখন প্র্যাকটিস করবেন তখন গ্রামার অনুসরণ করে ভোকাবুলারি সেন্টেন্স মেকিং এর কথা না ভেবে স্পিকিং এর অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো বুঝুন এবং তা পরিপূর্ণ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. আপনি যদি ভুল করেন তা শুধরানোর চেষ্টা করুন।
৪. কোন প্রশ্ন না বুঝলে আপনার এক্সামিনারকে বলে তা পুনরায় শুনুন এবং কিছু বুঝতে না পারলে তাকে প্রশ্ন করুন।
৫. আপনার বডি ল্যাঙ্গুইয়েজ নরমাল রাখুন।
৬. যেহেতু এক্সাম ফর্মাল সিচুয়েশনে হচ্ছে আপনি নিউট্রাল এবং সেমী ফর্মাল ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করুন।
৭. পরিপূর্ণ সময় এবং সুযোগ এর সদ্ব্যবহার করে ভালো এক্সাম দেওয়ার লক্ষ্যে দক্ষতা অর্জন করুন। আপনি যত বেশি চর্চা করবেন, যত বেশি পরিমাণে স্পিকিং করবেন, যত বেশি লিসিনিং, রিডিং, রাইটিং প্রাকটিস করবেন অপি তত বেশি আত্নবিশ্বাসী হবেন আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন এবং সেই সাথে আপনার কাঙ্খিত স্কোর অর্জন করতে পারবেন।
শেষকথা
বর্তমানে সময়ে IELTS এর গ্রগণযোগ্যতা পূর্বের চেয়ে বহুগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে IELTS শুধুমাত্র বাইরের দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন তা কিন্তু নয় বরং দেশের মধ্যে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে IELTS কে অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই IELTS কাঙ্খিত নম্বর তুলতে হলে আপনাকে একই সাথে ৪ টি বিভাগেই নিজের পরিপূর্ণ দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। আশা করি ঘুড়ি লার্নিং এর আজকের আর্টিকেলের মধ্যে প্রদত্ত টিপস এবং ট্রিক্স আপনাকে এই যাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
প্রতিনিয়ত আরও তথ্য-প্রযুক্তি, ভাষা দক্ষতা কিংবা এ শতকের প্রয়োজনীয় স্কিলে দক্ষ হতে ঘুড়ি লার্নিং এর কোর্স করুন এবং আমাদের ব্লগে নিয়মিত পড়তে থাকুন। ধন্যবাদ।
Answer these 5 questions to assess yourself and get a bonus 5 points.
Take the quiz now