বয়সভিত্তিক ইউজারদের সবচেয়ে পছন্দের একটি প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। একই সাথে অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্টের কম্বিনেশন থাকে বিধায় বিভিন্ন বয়সী ইউজার দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করে ইউটিউবে।
একটি রিসার্চে দেখা গেছে যে, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৭৫% আমেরিকানদের বেশিরভাগ সময় কাটে ইউটিউবকে কেন্দ্র করে। আর এ কারণে বর্তমানে ইউটিউবের অ্যাকটিভ ইউজারের সংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন ছড়িয়েছে। যা গুগলের পর এটিকে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মানুষের অ্যাক্টিভিটি উপর ভিত্তি করে মার্কেটারগন Social Media Marketing এর অংশ হিসেবে Youtube Marketing কে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। আপনি যদি পটেনশিয়াল কাস্টমারদের আপনার বিজনেসের দিকে মুভ করতে চান সেক্ষেত্রে Social Media Marketing এর অংশ হিসেবে বেঁচে নিতে পারেন Youtube Marketing। কিন্তু ইউটিউবে আপনাকে মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে এ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা সাজাতে হবে। তাই ইউটিউব মার্কেটিং করার ১০ টি কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সেই সাথে ঘুড়ি লার্নিং এর Digital Marketing, Facebook Marketing, Internet Marketing কোর্সগুলো শুরু করতে পারেন এবং নিজেকে একজন স্বনির্ভর হিসাবে তৈরি করতে পারেন। অন্যদিকে ঘুড়ি লার্নিং এ সাবস্ক্রিপশন করলে ১০০+ কোর্স পাবেন মাত্র ৯৯ টাকায়। সাবস্ক্রিপশন প্যাক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন।
Youtube Marketing বলতে কী বুঝায়?
যখন একটি ব্র্যান্ড ইউটিউবকে কেন্দ্র করে নিজেদের প্রোডাক্ট, সার্ভিস প্রমোট, প্রমোশন এবং মার্কেটিং করে তখন সেই মাধ্যমকে বলা হয় Youtube Marketing. Youtube Marketing করার কিছু মাধ্যম হল-
অর্গানিক প্রমোশনাল ভিডিও
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
এডভার্রটাইজিং
ইউটিউবকে কেন্দ্র করে আপনার বিজনেসের প্রচার কিংবা প্রচারণা চালানোর পূর্বে আপনাকে জানা প্রয়োজন যে আপনার অডিয়েন্সের চাহিদা কি? তারা কোন ধরনের প্রোডাক্ট চায়? তারা কোন ধরনের বিজনেসে ইন্টারেস্টেড? আপনি যদি জানেন আপনার কাস্টমারদের চাহিদা কি তাহলে আপনি ওই ধরনের প্রোডাক্ট স্টক করে Youtube Marketing করে সফল হতে পারেন ।
তবে শুধু Youtube Marketing করলেই হবে না আপনার অডিয়েন্স যাতে আপনার প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন খুঁজে পায় সেদিকেও আপনাকে সমান দৃষ্টি দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই SEO তে ফোকাস করতে হবে। যেহেতু ইউটিউব একটি সার্চ ইঞ্জিন এখানে আপনার ভিডিওকে ইউটিউব অ্যালগরিদম অনুযায়ী গুগল এসইও (SEO) এর মতো অপ্টিমাইজ করা উচিত।
ইউটিউব মার্কেটিং করার ১০ টি কার্যকর পদ্ধতি
এজন্য আপনার বিজনেসকে সাকসেসফুল করে তোলার জন্য আপনাকে ভাবতে হবে Youtube marketing নিয়ে। তাই কীভাবে Youtube Marketing করবেন তার গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি স্টেপ নিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
স্টেপ ১: মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করুন
Youtube Marketing করার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল সেট আপ করতে হবে।
যেহেতু ইউটিউব Google এর অংশ, তাই একটি YouTube চ্যানেল সাইন আপ করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি Google অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনি এক্ষেত্রে পুরোনো কোন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন বা বিশেষ করে আপনার ব্যবসা পরিচালনার জন্য নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় অনুসরণ করুণ-
একটি Google অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
আপনার YouTube অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে youtube ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
YouTube এ লগইন করুন এবং একটি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট এবং চ্যানেল তৈরি করুন।
অ্যাকাউন্ট তৈরির পর আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল সেট আপ করতে হবে। বিজনেসকে প্রফেশনাল লেভেলে নিয়ে যেতে হলে একটি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনার YouTube চ্যানেল পরিচালনা করলে সর্বোত্তম হবে।
স্টেপ ২: আপনার অর্ডিয়েন্স সম্পর্কে জানুন
Youtube marketing এর ক্ষেত্রে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে আপনার অডিয়েন্সের চাহিদা সম্পর্কে । এটি বেশ কঠিন একটি বিষয় হলেও এটি বের করার জন্য, আপনাকে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে:
আপনি কাদের জন্য ভিডিও বানাচ্ছেন?
তারা ইতিমধ্যে ইউটিউবে কি দেখছে?
শুরু করার জন্য, কিছু মৌলিক YouTube অডিয়েন্সের উপর রিসার্চ করা প্রয়োজন। ইউটিউব ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় নয়। সারা বিশ্বে YouTube-এর 100 টিরও বেশি স্থানীয় সংস্করণ আছে, সেখান থেকে এই তথ্য জানা যায়।
আপনি যদি ইতোমধ্যেই আপনার YouTube চ্যানেল সেট আপ করে থাকেন তবে আপনার Analytics ট্যাবটি দেখুন। এটি আপনাকে আপনার অডিয়েন্স এবং তাদের আগ্রহ সম্পর্কে মূল্যবান ইনসাইট দেখাবে। আপনি দেখতে পাবেন কতজন লোক সার্চের মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলো খুঁজে পাচ্ছে, তাদের সাজেশন ফিল্ডে বা অন্যান্য উৎস থেকে এটি কীভাবে দেখছেন৷
স্টেপ ৩: আপনার রিসার্চ সম্পন্ন করুন
YouTube গ্রো করার দ্রুততম উপায় হল আপনার প্রতিযোগিরা ইতোমধ্যে কি করছে এবং কোন টপিকসে ভালো ভিউ পাচ্ছে তা খুঁজে বের করা। সেক্ষেত্রে আপনার নিম্নোক্ত বিষয়ে ফোকাস করতে হবে:
গ্রাহক সংখ্যা
ভিডিও প্রতি গড় ভিউ
পোস্টিং এর সম্পন্ন
সামগ্রিক ভিডিও কোয়ালিটি
কমেন্টে মানুষ কি বলছে
এবং তারপর নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন:
তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও কি কি?
কীভাবে তারা নিজেদের প্রেজেন্ট করছেন?
তাদের ব্র্যান্ড ভয়েস কি?
আমি কীভাবে তাদের থেকে আমার কোম্পানিকে আলাদা করতে পারি?
এই চ্যানেল থেকে নতুন বিষয়বস্তুর জন্য আমি কি ধারণা পেতে পারি?
আপনার সমস্ত নোট একটি SWOT বিশ্লেষণে রাখুন। SWOT এর অর্থ হল শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ এবং হুমকি। আপনাকে সর্বদা একজন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টের মতো অনুসন্ধান করতে হবে যাতে আপনি সব দিক বিবেচনায় দারুণ কীওয়ার্ড বের করতে পারেন।
অর্থাৎ আপনার লক্ষ্য হবে আপনার গ্রাহক এবং দর্শক সংখ্যা যত দ্রুত সম্ভব বৃদ্ধি করা। এজন্য আপনার প্রতিযোগীদের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এবং ভিউ অনুসারে আপনার প্লান তৈরি করুন। প্রতি মাসে তাদের বিপরীতে আপনার নিজের প্রোগ্রেস ট্র্যাক করুন এবং সে অনুসারে আপনার পরিকল্পনা আপডেট করুন।
স্টেপ ৪: আপনার প্রিয় চ্যানেল থেকে শিখুন
আপনার প্রতিযোগীদের কাছ থেকে শেখার পাশাপাশি, আপনার প্রিয় YouTube চ্যানেল থেকেও শেখা উচিত। YouTube ব্যবহার করে তারা কী কাজ করছে সে সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এর মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং এন্যালাইসিস সম্পর্কেও আপনার ধারণা জন্মাবে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি জানেন কি ভিডিও কোয়ালিটির চেয়ে ভালো অডিও কোয়ালিটি থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? এটা সত্য যে কোন ভিডিও অডিও কোয়ালিটি খারাপ হয় তাহলে সাবস্ক্রাইবার কিন্তু আপনার ভিডিও দেখা বন্ধ করে দিতে পারবে।
মানুষ দেখতে চায় এমন YouTube ভিডিও করার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হয়। আপনি যখন অন্যদের দেখেন, তখন এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিন:
ভিডিও থাম্বনেল
চ্যানেল আর্ট
অন্য নির্মাতারা কীভাবে পোস্ট বা পণ্যের সাথে লিঙ্ক করছেন
অন্যান্য নির্মাতারা কীভাবে তাদের ভিডিও এডিটিং করছেন?
স্টেপ ৫: ভিউ পেতে আপনার ভিডিও অপ্টিমাইজ করুন
YouTube এর 2 বিলিয়ন ব্যবহারকারী প্রতিদিন প্রায় 1 বিলিয়ন ঘণ্টা ভিডিও কন্টেন্ট দেখছে। তাহলে আপনি কীভাবে আপনার ভিডিওগুলি দেখানোর জন্য YouTube এর অ্যালগরিদম অনুযায়ী কন্টেন্ট ম্যানেজ করবেন?
আপনি যখন Google-এ একটি শব্দ সার্চ করেন, তখন আপনাকে মোটামুটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফলাফল অন্যান্য ইউজারদের সাথে প্রেজেন্ট করা হবে।
কিন্তু যদি আপনি এবং একজন বন্ধু একই ঘরে, একই Wi-Fi-এ একে অপরের পাশে বসেন এবং একই কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করেন, আপনি একই ফলাফল দেখতে পাবেন। ইউটিউবের ক্ষেত্রে তা নয়। যখন ইউটিউব আপনাকে সার্চের ফলাফল দেখায়, তখন তারা Google যে কি-ওয়ার্ড এবং অনুরূপ জিনিসগুলি খোঁজে তা বিবেচনা করে যে কি-ওয়ার্ড প্লেসমেন্টের ফলে ভিডিও কতটা জনপ্রিয়। কিন্তু YouTube আপনার দেখার ইতিহাস এবং এটি আপনাকে যে ধরনের ভিডিওগুলি চেনে তাও বিবেচনা করে৷ দেখতে ভালো লাগে। তাই কোনো দুই ব্যবহারকারীর ইউটিউব হোমপেজ বা সার্চের ফলাফল 100% সমান হবে না। তাই আপনার ভিডিওগুলি পেতে অন্যান্য YouTube SEO জিনিসগুলো করা এখনও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও ভিউ পেতে আপনার ভিডিওগুলোকে অপ্টিমাইজ করার জন্য এখানে ৬ টি উপায় রয়েছে:
১. কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করুন
আপনি আপনার ভিডিও অপ্টিমাইজ করার আগে, আপনি কি জন্য অপ্টিমাইজ করছেন তা জানতে হবে।
আপনি নিজে-ওয়ার্ড গবেষণার জন্য Google Keyword Planner ব্যবহার করতে পারেন। উপরন্তু, YouTube অনুসন্ধান বারে আপনার বিষয় টাইপ করুন এবং দেখুন কি আসে। এই সব জিনিস বাস্তব মানুষ অনুসন্ধান করেছে. এটি আপনাকে নতুন কীওয়ার্ডের জন্য ধারণা দিতে পারে।
২. আপনার ভিডিওতে আপনার কি-ওয়ার্ড যোগ করুন
প্রতিটি ভিডিওর জন্য আপনার একটি প্রধান কি-ওয়ার্ড এবং কয়েকটি অতিরিক্ত শব্দ থাকা উচিত। তাদের যোগ করার জন্য এখানে আছে:
টাইটেল (প্রধান কী-ওয়ার্ড)
ডেসক্রিপশন (প্রধান কী-ওয়ার্ড + 1-2 সম্পর্কিত কী-ওয়ার্ড)
প্রথম ৩ টি বাক্যের মধ্যে প্রধান কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন
ভিডিওর ট্যাগ
ইউটিউবের মতে, এটির ন্যূনতম প্রভাব রয়েছে, তবে আপনার কীওয়ার্ডগুলিকে ট্যাগ হিসাবে ব্যবহার করুন। এতে মাত্র এক সেকেন্ড লাগবে।
৩. টাইমস্ট্যাম্প ব্যবহার করুন
ইউটিউব টাইমস্ট্যাম্পগুলি আপনার ভিডিওকে চ্যাপ্টারে বিভক্ত করার মতো। এটি দর্শকদের তাদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিভাগগুলিতে এড়িয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়৷ এটি তাদের আপনার আরও ভিডিও দেখার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়৷
৪. একটি বিস্তারিত ডেসক্রিপশন তৈরি করুন
প্রতিটি ভিডিওর ডেসক্রিপশন কয়েকটি বাক্যের একটি অনন্য বিভাগ থাকা উচিত যা বর্ণনা করে যে এটি কী। তবে, প্রতিটি ভিডিওতে আপনি যে অংশগুলি চান তার জন্য সময় বাঁচাতে আপনি ডিফল্ট বিবরণ তৈরি করতে পারেন।
আপনি আপনার বিবরণে যা অন্তর্ভুক্ত করতে চান তা এখানে:
ওয়েবসাইট— লিংক
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের লিংক
আপনার পণ্য বা সার্ভিস লিঙ্ক।
কল টু অ্যাকশন
৫. একটি এট্রাকটিভ ভিডিও থাম্বনেল তৈরি করুন
কাস্টম থাম্বনেল ভিউ এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিরোনাম ছাড়াও, এটি শুধু অন্য জিনিস যা ব্যবহারকারীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা আপনার ভিডিও দেখতে চায় কিনা।একটি ভাল YouTube থাম্বনেইল হিসাবে যা গণনা করা হয় তা আপনার দর্শকদের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে।বর্তমান স্পেসগুলি হল একটি 16:9 ফরম্যাট যার ন্যূনতম আকার 1280 x 720 পিক্সেল৷
৬. কমেন্ট রেসপন্স করুন
তাই আপনার অর্ডিয়েন্স এর সাথে কানেক্টেড থাকতে হলে আপনাকে সবসময় তাদের সাথে রেস্পন্সিভ মুডে থাকতে হবে। তাই কানেক্টেড থাকতে হলে তাদের সাথে কমেন্টে কানেকটেড থাকার চেষ্টা করবেন।
স্টেপ ৬: আপলোড পূর্বে আপনার ভিডিও শিডিউল করুন
আপনি সরাসরি YouTube স্টুডিওতে আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং হয় তা সরাসরি প্রকাশ করতে পারেন বা পরে এটির জন্য শিডিউল করতে পারেন।
সময়সূচি করার জন্য, কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে:
আপনি কত ঘন ঘন পোস্ট করতে যাচ্ছেন? একটি সময়সূচি বেছে নিন — দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ইত্যাদি — এবং তাতে লেগে থাকুন।
স্টেপ ৭: আপনার চ্যানেল অপ্টিমাইজ করুন
আমরা পৃথক ভিডিওগুলি অপ্টিমাইজ করার বিষয়ে কথা বলেছি তবে আপনাকে আপনার পুরো চ্যানেলটি অপ্টিমাইজ করতে হবে। আপনার চ্যানেল এবং প্রোফাইল ফটো আপনার ব্র্যান্ডিং প্রতিফলিত নিশ্চিত করুন।
আপনার চ্যানেলে আরও বেশি সময় ধরে রাখতে দর্শকদেরকে আপনার অন্য ভিডিওগুলিতে নির্দেশ করতে একটি কাস্টম শেষ স্ক্রীন ব্যবহার করুন৷ আপনি এমনকি বহুভাষী দর্শকদের আরও ভাল পরিবেশন করতে বা আরও আন্তর্জাতিক ভিউ অর্জন করতে আপনার ক্যাপশনের অনুবাদিত সংস্করণ যোগ করতে পারেন।
স্টেপ ৮: YouTube বিজ্ঞাপন চেষ্টা করুন
বেশিরভাগ ইউটিউব বিজ্ঞাপনগুলি ভিডিও তবে আপনি ভিডিওতে বা ওয়েবসাইটে ব্যানার বিজ্ঞাপনও রাখতে পারেন। একটি Google কোম্পানি হিসাবে, YouTube বিজ্ঞাপনগুলি Google বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কাজ করে। সফল বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য নিজস্ব একটি কৌশল প্রয়োজন, যা আমরা আমাদের Google বিজ্ঞাপনের নির্দেশিকাতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করি।
স্টেপ ৯: ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে Social Media Marketing এর ক্ষেত্রে বেশ ইম্পর্ট্যান্ট একটি পার্ট হল ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। সাম্প্রতিক সময়ে একটি রিসার্চে দেখা গেছে যে YouTube প্রতি বছর $10,000-এর বেশি উপার্জনকারী নির্মাতাদের সংখ্যায় বছরে 50% বৃদ্ধির রিপোর্ট করেছে, এবং $100,000-এর বেশি উপার্জনকারীদের মধ্যে 40% বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাই শুধু ইউটিউব কেন্দ্রিক আপনার বিজনেস পরিচালনার সোশ্যাল Media marketing এর অংশ হিসেবে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বেছে নিতে পারেন।
স্টেপ ১০: বিশ্লেষণ করুন এবং মানিয়ে নিন
Youtube marketing এর জন্য , আপনাকে কমপক্ষে মান্থলি YouTube analytics ট্র্যাক করতে হবে৷ আপনার অর্ডিয়েন্স কী দেখছে, তারা কী পছন্দ করছে, আপনার ট্র্যাফিক কোথা থেকে আসছে এবং আরও অনেক কিছু দেখতে YouTube-এর অন্তর্নির্মিত প্রতিবেদনগুলি ব্যবহার করুন৷
আপনার চ্যানেলের বৃদ্ধিও ট্র্যাক করতে বিশ্লেষণ ব্যবহার করুন। এর জন্য আপনার মাসিক সংখ্যাগুলি লিখুন:
সাবস্ক্রাইবার
ভিউ
সময়কাল দেখুন
সেরা ভিডিও
দেখার সময়,
ইমপ্রেশন
আপনার ক্লিক-থ্রু রেট (CTR)
এভাবে আপনি আপনার মান্থলি প্রোগ্রেস এভালুয়েট করতে পারবেন এবং তা অনুযায়ী আপনার পরবর্তী পরিকল্পনা সাজিয়ে নিবেন।
শেষকথা
বর্তমান সময়ে ব্র্যাণ্ডসমূহ নিজেদের মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছে Social Media Marketing কে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্র্যান্ডকে গ্লোবালি তুলে ধরতে Youtube marketing এ ফোকাস দিতে হবে। আশা করি Youtube Marketing জার্নিতে প্রয়োজনীয় ইনফর্মেশনগুলো আপনাকে হেল্প করবে। সবশেষে ঘুড়ি লার্নিং এর সাবস্কি্রপশন প্যাকের সাথে থেকে আপনার স্কিলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন এবং ঘুড়ি লার্নিং ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Answer these 5 questions to assess yourself and get a bonus 5 points.
Take the quiz now